দুই মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তার। এছাড়া শামীমের সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
দেহরক্ষীরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
পুলিশের আবেদনে ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শনিবার শামীম ও তার দেহরক্ষীদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান।
যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি চালিয়ে আসা শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদারি কাজে তার দাপটের খবর ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।
জুয়ার আখড়া বন্ধে অভিযানের মধ্যে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি যুবলীগ পরিচয় ব্যবহার করলেও যুবলীগের শীর্ষনেতাদের দাবি, শামীম সংগঠনের কোনো পদে ছিলেন না।
র্যাব সদর দপ্তর, সচিবালয় ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ এখন শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে রয়েছে। এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
শনিবার দুপুরের পর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। এ সময় র্যাবের পক্ষ থেকে শামীম ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে মাদক আইন, অস্ত্র আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনটি মামলা দেওয়া হয়।
শুনানি শেষে বিচারক মাহমুদা আক্তার জামিন নাকচ করে শামীম ও তার দেহরক্ষীদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।