নিজেরা ‘শক্তিশালী’ না হলে সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা তৈরি হবে না বলে কর্মকর্তাদের বলেছেন তিনি।
শুক্রবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, “এক সময় উপজেলা নির্বাচন অফিস ছিল না। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সম্বল ছিল একটি ব্যাগ আর যাতায়াতের বাহন ছিল রিকশা। এখন সেই অবস্থা নেই।
“আপনাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাও দেওয়া হয়, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আমরা যদি নিজেরা শক্তিশালী না হই তাহলে কী হবে?”
ভোটের দায়িত্ব পালনে নিজেদের যোগ্যতা বাড়ানোরও তাগিদ দেন সিইসি।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, “আমরা এখন স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে বাইরের কাউকে দায়িত্ব দেই না। আগামীতে সব ধরনের নির্বাচনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আপনাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সেটা কতদিনে হবে জানি না। আপনারা ধীরে ধীরে নিজেদের যোগ্য করে তুলুন।”
রোহিঙ্গা ভোটারের বিষয়ে সচেতন থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “মানুষ লোভে পড়ে অনেক কিছু করে ফেলে। সাংবিধানিক সংস্থা মানে এই না যা খুশি তাই করে ফেলবেন। দুয়েকজনের কর্মকাণ্ডের জন্য অনেক সময় কমিশনকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে। সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে।”
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নুরুজ্জামান সভাপতি- হাসানুজ্জামান মহাসচিব
সংগঠনের মহাসিচব নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।
শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোট শুরু হয়ে ৬টা পর্যন্ত চলে।
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ১০৪ জন। পরে এ নির্বাচনে ১৫টি পদে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন ৯৭ প্রার্থী। চারটি পদে একক প্রার্থী থাকায় ভোট হয়নি।