বাংলাদেশ সফররত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।
প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। আমাদের একই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। ১৯৭১ সালে আমাদের এক কোটি মানুষ রিফিউজি হয়েছিল।
“কিন্তু এটা এখন বোঝা হয়ে গেছে আমাদের জন্য। আমাদের স্থানীয় মানুষেরা ভুক্তভোগী হচ্ছে। তবে মানবিক কারণে তারা এটা মেনে নিয়েছে।”
“প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের ফেরৎ নিতে হবে।”
২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর থেকে সোয়া সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর সঙ্গে আগে থেকেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিলিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখে।
যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ার সংসদ সদস্য অ্যানে মেন-এর নেতৃত্বে ‘ইউকে কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’র প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়া ইউকে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন পপুলেশন, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথের একটি প্রতিনিধি দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা উল্লেখ করে সৌজন্য সাক্ষাতে অ্যানে মেন প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন বলে জানান ইহসানুল করিম।
প্রেস সচিব বলেন, “রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক বিষয়ের প্রশংসা করেন তিনি। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।”
অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে সব সময় ব্রিটেন সহযোগিতা করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শেখ হাসিনা বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।