শিক্ষায় সবচেয়ে বড় পুরস্কার ফজলে হাসান আবেদের

শিক্ষার উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার এমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2019, 11:05 AM
Updated : 19 Sept 2019, 11:09 AM

ইদান প্রাইজ নামে এই পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় ৩৩ কোটি টাকা, যা নগদ ও প্রকল্প তহবিল হিসেবে সমান দুই ভাগে দেওয়া হবে।

হংকংভিত্তিক ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার এই পুরস্কারের জন্য ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতার নাম ঘোষণা করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমন্বিত পদ্ধতিতে আনন্দময় পরিবেশে খেলাধুলার মধ্য দিয়ে ব্র্যাক বিশ্বজুড়ে পাঠদানের আয়োজন করে আসছে। বাংলাদেশে ব্র্যাকের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলোতে পাঁচ দশক ধরে অন্তত এককোটি ২০ লাখ শিশু শিক্ষা নিয়েছে।

ব্র্যাক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষাকেন্দ্র এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ ছাড়াও উগান্ডা ও তানজানিয়ায় ব্র্যাকের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে মোট ৬৫৬টি প্লে-ল্যাব। যেখানে প্রতিদিন নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে অন্তত ১১ হাজার ৫০০ শিশু।

এছাড়া শরণার্থী শিশুরা যাতে আনন্দময় পরিবেশে শিক্ষালাভের মাধ্যমে মানসিক ক্ষত কাঠিয়ে উঠতে পারে, সে উদ্দেশ্যে হিউম্যানিটারিয়ান প্লে-ল্যাব নামে একটি মডেল তৈরি করেছে ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট।

ফজলে হাসান বলেন, “শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে শৈশবেই অনুকূল পরিবেশে শেখার সুযোগ করে দেয়াটা জরুরি। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য খেলায় খেলায় শিক্ষালাভের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে থাকে ব্র্যাক। এর মধ্যে শরণার্থী শিবিরের শিশুরাও আছে, যারা নানাবিধ মানসিক সমস্যা নিয়ে বড় হচ্ছে।

“শৈশবেই খেলাধুলা এবং হাসিখুশি থাকার পর্যাপ্ত সুযোগ দিলে তারাও সুস্থ মানুষ হিসেবে বড় হয়ে উঠতে পারবে। আমি আশা করি, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে এর উন্নয়ন ও প্রসারে এগিয়ে আসবেন।”

ইদান পুরস্কার থেকে পাওয়া অর্থ ব্র্যাকের শিক্ষা কার্যক্রম বিস্তারে বিশেষ সহায়ক হবে মন্তব্য করে বলেন, পুরস্কারের অর্থ শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার এবং নতুন নতুন প্লে ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার করা হবে।

ডিসেম্বরে হংকংয়ে অনুষ্ঠানে ফজলে হাসানের হাতে পুরস্কারের অর্থের সঙ্গে সম্মাননাসূচক একটি স্বর্ণপদকও তুলে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন দুটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কারটি দিয়ে থাকে- শিক্ষা গবেষণা ও অপরটি শিক্ষা উন্নয়ন।

এবছর শিক্ষা গবেষণার জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কগনিটিভ ডেভেলপমেন্টাল নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ঊষা গোস্বামী।