অবৈধ গ্যাস সংযোগে চলছিল গোল্ডেন টিউলিপ হোটেল: দুদক

ঢাকার বনানীর হোটেল গোল্ডেন টিউলিপে অভিনব কায়দায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে আড়াই বছর ধরে অর্ধ কোটি টাকার গ্যাস ব্যবহারের প্রমাণ পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 07:10 PM
Updated : 18 Sept 2019, 07:10 PM

বুধবার এই চার তারকা হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হটলাইনে একটি অভিযোগ পেয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে একটি দল এ অভিযান চালায়। তাদের সঙ্গে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তাও সঙ্গে ছিলেন।

প্রনব বলেন, “গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের ভেতরে ৩০টি গ্যাস সিলিন্ডার পাশাপাশি সাজিয়ে রাখা হয়, যাতে করে মনে হয় এসব সিলিন্ডার ব্যবহার করে হোটেলের রান্না হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া অবৈধ গ্যাস লাইন ব্যবহার করে চালানো হচ্ছিল চুলা, গ্রিলার, স্টার বার্নারসহ বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম।

“হোটেলটিতে গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করা হয়নি। পাশের একটি বাসার গ্যাস লাইন থেকে অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে দৈনিক প্রায় ৭০৫ ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করে আসছিল এখানে তারা।”

হোটেলটি প্রায় ৩১ মাস ধরে এভাবে বেআইনিভাবে গ্যাস ব্যবহার করে প্রায় ৫০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করেছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।

এরপর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মীরা হোটেলের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা করার প্রক্রিয়া শুরু করে বলে জানান প্রনব।

তবে হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপরূপা রে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের গ্যাস সংযোগ বৈধ। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র খুঁজে বের করে কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করবেন তারা।

অন্যদিকে অভিযানে অংশ নেওয়া তিতাস গ্যাসের উপ-মহাব্যবস্থাপক রতন চন্দ্র দে বলেন, "এই ঠিকানায় (হোটেল) একটি সিঙ্গেল ও একটি ডাবল গ্যাসের চুলার জন্য আবাসিক সংযোগের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। সেটা ব্যবহার না করে সেখানে তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অবৈধ উপায়ে ব্যাপক পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহার করে আসছিল তারা।”

হোটেলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।