বুধবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযানে এদের আটকের পাশাপাশি সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, মদের বোতল ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছয়জন কর্মচারীসহ ৩১ জনকে এক বছর এবং বাকিদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ক্যাসিনোর ম্যানেজার একজন নেপালি। অভিযানের খবর পেয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন। তার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
অবৈধভাবে এই ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এদিন দুপুরের পর গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কে খালেদের বাসা এবং ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে একযোগে অভিযান শুরু করেন র্যাব সদস্যরা।
ওই ক্লাব থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে বলে সারোয়ার বিন কাশেম জানিয়েছেন।
ইয়ংমেনস ক্লাবে যে ১৪২ জনকে আটক করা হয়, তাদের একজন জসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি জমি কেনা-বেচা সংক্রান্ত বিষয়ে ক্লাবের ক্যান্টিনে বসে একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় অভিযান চালায় র্যাব।
তবে কামাল নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি জুয়া খেলতেই এসেছিলেন। দুই মাস ধরে খেলছেন। জিতেছেন দুই লাখ টাকা, হেরেছেন ৮ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, “কেউ যেন এখানে না আসে। এটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে অনেকের সংসার রক্ষা পাবে।”
প্রতিটি ক্লাবেই শ্রেণিভেদে জুয়ার বোর্ড রয়েছে। ১০০ টাকা থেকে লাখ টাকার বোর্ডে এসব খেলা হয় বলে ক্লাবের কর্মীরা জানান।
বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আতিক বলেন, তিনি ১৪ হাজার টাকা বেতনে পার্টটাইম চাকরি করছিলেন ইয়ংমেনস ক্লাবে। দিনে মোট আট ঘণ্টা কাজ করতেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির প্রভাবশালী নেতা খালেদকে ধরতে অভিযান নামে র্যাব।