বিদ্যুতের খুঁটি থেকে অন্য তার সরাতে নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর

ঢাকা শহরে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলে থাকা বিভিন্ন সেবা সংস্থার তার অপসারণে দ্রুত উদ্যোগ নিতে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 12:23 PM
Updated : 18 Sept 2019, 12:23 PM

আগামী এক মাসের মধ্যেই ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও স্যাটেলাইন টিভির সংযোগদাতা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে ডিপিডিসি ও ডেসকোর ব্যবস্থাপকদের নির্দেশ দেন তিনি।

বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে ডিপিডিসির এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বাধাগুলো দূর করার পরামর্শ দিতে গিয়ে এ নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।

ঢাকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে প্রচলিত খুঁটি অপসারণে চীনের অর্থায়নে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ডিপিডিসি। পর্যায়ক্রমে ঢাকার আরেক বিদ্যুৎ বিপণন সংস্থা ডেসকোও একই ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পের আওতায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারগুলোর স্থায়িত্ব ও দক্ষতা বাড়াতে নতুন বিনিয়োগ করা হচ্ছে এই প্রকল্পের অধীনে। মাটির নিচে বিদ্যুতের উপ-কেন্দ্র স্থাপন করে তার উপর বহুতল ভবন নির্মাণের কাজেও হাত দিয়েছে ডিপিডিসি।

এদিন প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শক হিসাবে ফিনল্যান্ডের কোম্পানি হিফাব ওয় এবং ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইসিবিএল) জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যেই পরিকল্পনায় থাকা প্রকল্পের সবগুলো অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অধিক লাভ নিশ্চিত করতে হলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য আরও বিনিয়োগ করতে হবে। আগামী দিনে বিদ্যুৎ বিতরণে ব্যবস্থাকে আধুনিক বিশ্বের স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীত করার বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে ডেসকো ও ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ডিপিডিসি ও ডেসকো এলাকার যত ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট কেবল আছে, তা অপসারণের উদ্যোগ নিতে হবে এখনই। এগুলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রচণ্ডভাবে ক্ষতি করছে।”

আগামী এক মাসের মধ্যে এনিয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে এবিষয়ে আলোচনা শুরুর নির্দেশ দেন তিনি।

“ইন্টারনেট ও কেবল অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে একটা সময় বের করুন। তারগুলো সরানোর ব্যবস্থা করুন। আগামী মাসের মধ্যেই আপনার তাদের সঙ্গে বসেন। পরে আমাকে নিয়ে তাদের সঙ্গে বসুন। ঝুলন্ত তার দ্রুত অপসারণে কিভাবে উপায় বের করা যায় তা খুঁজে দেখতে বলেন।”

ঝুলন্ত তার অপসারণে ২০১৪ সালেও একবার উদ্যোগ নিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। সেবার সচিবালয়ে সব পক্ষগুলোকে নিয়ে আলোচনা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।