রোববার রাতে গ্রেপ্তারের পর উত্তরা মডেল থানায় করা মামলায় সোমবার আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এই পাঁচজন হলেন নায়েক জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল প্রশান্ত মন্ডল, রনি মোল্লা, শরিফুল ইসলাম ও গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী।
উত্তরা মডেল থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এপিবিএন রোববার রাত সাড়ে ১১টায় ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
“এই পাঁচজনের কাছ থেকে ৫৫২পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে এপিবিএনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। সেই অভিযোগটি নিয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করার পর আজ গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালত তিনজনকে তিন দিনের এবং দুজনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।”
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গুলশানের গুদারাঘাট এলাকায় গত ১১ সেপ্টেম্বর একজন মোটর সাইকেল আরোহীর কাছ থেকে বেশ কিছু ইয়াবা পাওয়া যায়। ওই ইয়াবা রেখে মোটর সাইকেল আরোহীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর ইয়াবাগুলোর একটি অংশ এএসআই মিয়াজী নেন, বাকি অংশ নেন এপিবিএনের নায়েক জাহাঙ্গীর।
“পরে এপিবিএন ব্যারাকের এক বাথরুমে বসে জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন ভাগাভাগি করার সময় এপিবিএনের কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এএসআই মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলার পাশাপাশি তার ব্যটালিয়নের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।