এফবিআইর সহযোগিতা চায় দুদক

বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এফবিআইর সহযোগিতা চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2019, 05:10 PM
Updated : 16 Sept 2019, 05:11 PM

সোমবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আবাসিক আইন উপদেষ্টা এরিক অপেঙ্গার সঙ্গে বৈঠকে  কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এই সহযোগিতা চান।

দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, "কেউ যদি আমেরিকায় অর্থ উপার্জন করে গাড়ি-বাড়িসহ সম্পদ গড়ে তোলেন- সে বিষয়ে দুদকের কোনো মাথা ব্যথা নেই, তবে বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে আমেরিকা বা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সম্পদ তৈরি করেন, সেটা দুদক আইনের আওতাভুক্ত অপরাধ।

“এসব অর্থ পাচারকারীদের আইন-আমলে আনতে এফবিআইসহ সকল দেশের এ জাতীয় সংস্থার সহযোগিতা কামনা করি।"
তিনি বলেন, দুদক এফবিআইর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও এফবিআইয়ের সাথে দুদকের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান এদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ প্রত্যার্পণ ও কমিশনের নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।”

বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধের সাথে মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্রের যেসব অপরাধের মিল রয়েছে, সেসব বিষয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার বিষয়ে জোর দেন দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, "প্রশিক্ষণ মানেই বিদেশে যেতে হবে, কমিশন এমনটা মনে করে না। প্রয়োজনে এসব বিষয়ে এফবিআই অথবা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের প্রথিতযশা রিসোর্স পারসনগণ বাংলাদেশে এসে কমিশনের কমকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন অথবা আঞ্চলিক পর্যায়ে যেমন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় সমন্বিতভাবে এসব প্রশিক্ষণ হতে পারে। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কমিশন সবসময়ই ভ্যালু ফর মানির বিষয়টি বিবেচনা করে।"

বাংলাদেশের অর্থ পাচারের অন্যতম মাধ্যম ‘ট্রেড বেইজড মানিলন্ডারিং’ উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ জাতীয় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে দুদক,  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় সমন্বয়ের প্রয়োজন।

"তাই কমিশন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে অভিপ্রায় ব্যক্ত করে পত্র দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বিতভাবে কর্মকৌশল বাস্তবায়ন করা গেলে অর্থ পাচারের লাগাম টেনে ধরা যেতে পারে।"

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, আইসিটি ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল উপস্থিত ছিলেন।