সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জোন এবং থানাগুলোতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে রোববার ডিএমপির নতুন কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, থানার সেবার মান বাড়াতে প্রয়োজনে তিনি নিজে ওসির দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশ কমিশনারের এই নির্দেশনার পর তারা কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “থানার সেবার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং করতে বলা হয়েছে।”
রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ কমিশনারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।
“আমি নিজেও রোববার একটি থানায় গিয়ে দীর্ঘ সময় থেকে দায়িত্ব পালন করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে।”
এছাড়াও থানায় জিডি বা মামলা করতে আসা কেউ যেন টাকা লেনদেন না করেন বা করলে কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত, সে বিষয়ে গোপন তদন্ত করে প্রতিবেদন ডিসি কার্যালয়ে জমা দেবেন তারা।
পুরনো কোনো মামলার বা জিডির বাদীর সঙ্গে এডিসি-এসি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে ওসি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বা অন্য কোনো কর্মকর্তা টাকা লেনদেন করেছেন কি না তা খোঁজ করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
ওই আদেশে বলা হয়, ‘ওসি কথা শুনছেন না’ এ ধরনের কোনো কথা এডিসি বা এসির কাছ থেকে যেন শুনতে না হয়।
থানায় কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ভাবে তা পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে জানানোর বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।