বিদায়ী দূত রোববার বঙ্গভবনে যান বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সফলভাবে দায়িত্ব পালনেরে জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, সে কথাও তিনি স্মরণ করেন।
“রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হয়। সেই থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে এবং সার্বিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সহায়তার মধ্যে দিয়ে জাপান অন্যতম উন্নয়ন অংশীদারে পরিণত হয়েছে।”
বিভিন্ন খাতে জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধারা আরও বেগবান হবে বলে তিনি আশা করছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফর এবং সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুই দশের প্রধানমন্ত্রীর পারস্পরিক সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
বিদায়ী দূত তার দায়িত্ব পালনের সময় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। জাপান দীর্ঘমেয়াদে উন্নয়ন সহযোহিতা অব্যাহত রাখতে বদ্ধ পরিকর।”
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।