ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার একদিন পর রোববার মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে অধীনস্ত কর্মকর্তাদের এই বার্তা দেন তিনি।
শফিকুল ইসলাম বলেন, “এখন যারা থানায় কাজ করছেন তাদের আচরণে যদি পরিবর্তন না আসে তা হলে সিনিয়র অফিসাররা থানায় বসা শুরু করবে। আমি নিজে গিয়ে থানায় ওসিগিরি করব, ডিসিদের থানায় বসিয়ে দেব এবং অন্তত সপ্তাহে একদিন সিনিয়র অফিসাররা থানায় বসে মানুষের কথা শুনে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবে।“
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জনগণের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে যা যা করা দরকার তাই করা হবে।
পুলিশের কোনো সদস্য অন্যায় আচরণ করলে তাকে রক্ষার চেষ্টা করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শফিকুল ইসলাম শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি সিআইডির প্রধান ছিলেন।
জঙ্গি দমনে পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে নতুন ডিএমপি কমিশনার বলেন, “অনলাইনে জঙ্গিরা যে প্রচারণা চালাচ্ছে সেখানে উদ্বুদ্ধ হয়ে যারা জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা এখনও আমাদের তৈরি হয়নি। এই সক্ষমতা তৈরির কাজ আমি করব।”
এছাড়াও বাসা-বাড়িতে গিয়ে, মসজিদে ইমামকে দিয়ে, স্থানীয় মুরুব্বিদের দিয়ে জঙ্গিবাদের ক্ষতিকর দিকগুলো বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
“ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনারদের মাঠে থাকার জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। অন্তত সকালে অফিস টাইমে তিন ঘণ্টা এবং বাসায় ফেরার সময় বিকালে তিন ঘণ্টা যেন তারা মাঠে থাকেন। তা না হলে আট ঘণ্টা করে উপ- কমিশনারদের মাঠে ডিউটির দায়িত্ব দেওয়া হবে।”
যানজট নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আমাদের আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা বাদ দিতে হবে, ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পার না হয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে পার হওয়া বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক আইন মানতে হবে।”
এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, “ঢাকা মহানগরে কাজ করা আর জেলাতে কাজ করার সম্পূর্ণ আলাদা। ঢাকায় কাজ করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বড় প্রয়োজন। অভিজ্ঞতা না থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
“তবে কারও বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
অনুষ্ঠানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।