আস্থা অর্জনে পুলিশ নিয়োগে স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

পুলিশ বাহিনীর জন্য জনগণের আস্থা অর্জন গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2019, 09:05 AM
Updated : 15 Sept 2019, 01:41 PM

প্রধানমন্ত্রী রোববার সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৩৬তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এবার যে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের একটি লোকও দুর্নীতি বা ঘুষ দেওয়ার কথা বলতে পারেননি।

“এতো স্বচ্ছতার সাথে যে এবার পুলিশ সদস্য নিয়োগ হয়েছে, সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করার জন্য এ পদক্ষেপটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি আগামীতেও আপনারা এ পদক্ষেপে এগিয়ে যাবেন।”

নতুন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নবীন কর্মকর্তারা আজকে যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি আমার এটাই আহ্বান- সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতার সাথে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সব সময় মনে রাখবে যে তারা জনগণের পুলিশ। কারণ জনগণের মাঝেই আপনাদের বাবা, মা, ভাই, বোন, আত্মীয়, পরিবার-পরিজন। কাজেই তাদের কল্যাণ, তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়াটা আপনাদের দায়িত্ব।”

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একান্ত অপরিহার্য বলে কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। 

পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে গত দশ বছরে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিপদে জনগণের বন্ধু- এভাবে নিজেকে গড়ে তুলবেন। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সমস্ত কালো বিষয়গুলো, যা আমাদের সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবেন।”

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অবতরণ করে। বেলা ১১টায় প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অভিবাদন গ্রহণ এবং প্যারেড পরিদর্শন করেন।

পরে প্রশিক্ষণে ‘বেস্ট স্যুটার’ খায়রুল কবির, ‘বেস্ট ফিল্ড পারফমার’ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, বেস্ট হর্সম্যানশিপ হিসেবে মো. সালাহউদ্দিন, ‘বেস্ট একাডেমিক’ সাইফুল ইসলাম খান এবং ‘বেস্ট প্রবেশনার’ মো. সালাহউদ্দিনকে ট্রফি দেন প্রধানমন্ত্রী।

এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে ১৭ জন নারীসহ ১১৭ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার এই কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এতে নেতৃত্ব দেন শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা শারমিন আক্তার চুমকি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য মনসুর রহমান, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম মিতা।