দ্বিতীয় দফার অভিযানকে ‘ফাইনাল অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করে উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এ অভিযানে কোনো বাড়ি, স্থাপনায় ডেঙ্গুর জীবাণুবাহক এইডিস মশার লার্ভা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া গেলেই জরিমানা করা হবে।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গেইট থেকে মশা নিধনে দ্বিতীয় দফার অভিযান উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, "প্রথম পর্যায়ে এইডিসের লার্ভা পাওয়ার পরও অনেককে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার আর কোনো ছাড় নয়।
“এবার এইডিসের লার্ভা বা এই মশা জন্মের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে জরিমানা করা হবে। প্রথমবার ছিল সেমিফাইনাল, এবার হবে ফাইনাল অভিযান।"
এ বছর ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এইডিস মশার উৎস ধ্বংস করতে গত ২০ অগাস্ট চিরুনি অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি।
অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৬টি ওয়ার্ডের এক লাখ ২১ হাজার ৫৬০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে এক হাজার ৯৫৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৬৭ হাজার ৩০৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী স্থান বা জমে থাকা পানি পায় ডিএনসিসি।
“এই চিরুনি অভিযানে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করে পরিচ্ছন্নতা এবং এইডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কাজ করব।এছাড়া ওই ১০ ভাগকে আবার ১০টি সাব ভাগে ভাগ করে মোট ৩৬০টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, মোবাশ্বর হোসেন, রজব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।