নামটা যত ভালো কাজটা তত ভালো নয়: ‘সুফল’ নিয়ে সাবের
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 14 Sep 2019 08:39 PM BdST Updated: 14 Sep 2019 08:39 PM BdST
বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ ও সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের (সুফল) কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
শনিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে প্রকল্পের এক বছরেও মৌলিক ও ভিত্তিমূলক কাজগুলো সম্পন্ন না হওয়ায় আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাঁচ বছরের প্রকল্পের এক বছর হতে চলছে, কিন্তু এর মূল কাজগুলো এখনো হয়নি। বৈঠকে প্রকল্প সম্পর্কে চমৎকার উপস্থাপনা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, তাদের কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেই। তারা প্রত্যাশার ধারে কাছেও নেই।”
‘সুফল’ প্রকল্পের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে কমিটির সভাপতি বলেন, “তাদের নামটা যত ভালো কাজটা ততটা ভালো নয়।”
কমিটির কার্যপত্র পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং বনজ সম্পদ উজাড়রোধ ও বিন নির্ভর জনগোষ্ঠীর বিকল্প জীবিকা সুবিধা প্রদানসহ বেশ কিছু লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে নিয়ে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে পাঁচ বছরব্যাপী সুফল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শুরুর ৬ মাসের মাথায় গত বছর ডিসেম্বরে কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পের আওতায় রয়েছে পাঁচটি বনাঞ্চল, যা দেশের আটটি বিভাগের ২৮টি জেলায় ১৬৫ উপজেলার ৬০০টি গ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৫০২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার প্রকল্পের বেশিরভাগই দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।
প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে ৭৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বনায়ন এবং বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ও চলাচলের পথের (করিডোর) উন্নয়ন, বিপন্ন বন্যপ্রাণী (হাতি, শকুন, স্পুন-বিল সেন্ডপাইপার, সার্ক, রে, ঘড়িয়াল, ডলফিন ও বাঘ) সংরক্ষণ, বিপন্ন প্রজাতির গাছপালার লাল-তালিকাকরণ এবং কিছু স্থাপনা নির্মাণ, বনাঞ্চলের আশপাশের বন নির্ভর ৬০০টি গ্রামের ৪০ হাজার পরিবারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের জাতীয় বনাঞ্চল ১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি এক বছর পার হতে চললেও এখনও সার্বক্ষণিক কোনো প্রকল্প পরিচালক নেই। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে যিনি দায়িত্বে আছেন সরকারের তিনি আরও একাধিক দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকল্পের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি এবং প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করতে না করতেই তা আবার ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পে বনাঞ্চলের পার্শ্ববর্তী ৬০০টি গ্রামের মানুষকে প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই গ্রামগুলো কোথায় তার কিছুই এখনও ঠিক করা হয়নি। এই মৌলিক বিষয়গুলো প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সময়ই থাকার কথা।
জানা গেছে, প্রকল্পে প্রশিক্ষণ বাবদ ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু কিসের ওপর প্রশিক্ষণ হবে, তার মডিউল কী হবে, কারা মডিউল তৈরি করবে বা কাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তার কোনো কর্মপরিকল্পনা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি সাবের বলেন, “এত বড় প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে গেলে এর ভিত শক্তভাবে তৈরি করতে হবে। কিন্তু পরিকল্পনার দিক থেকে কোনো ধরনের স্বস্তি আমরা খুঁজে পাইনি। বাস্তবায়ন তো পরের কথা। এজন্য আমরা আগামীতে পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা চেয়েছি।”
তিনি জানান, প্রকল্পে যে ৬০০টি গ্রামের মানুষকে প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেগুলোর উল্লেখ নেই। অথচ এটা একনেকে অনুমোদনের আগেই চূড়ান্ত হওয়ার কথা।
সাবের চৌধুরী বলেন, “আমরা একজন ফুলটাইম প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে আগেই সুপারিশ করেছি কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।”
তিনি জানান, প্রথম বছর তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী টাকা খরচ করতে পারেনি, অথচ তারা হুলস্থূল করে গাড়ি কেনা শুরু করে দিয়েছে।
কার্যপত্র থেকে জানা যায়, প্রথম বছরে ৫৭ কোটি টাকা ব্যয় করার কথা। এরমধ্যে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত প্রকল্পে দুইজন উপপ্রকল্প পরিচালক নিয়োগ, ৫৯ জন পরামর্শকের মধ্যে ৪০ জন নিয়োগ করা হয়েছে। বাকি ১৯ জন বাছাইয়ের কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরে ২২৪ কোটি টাকার ক্রয় পরিকল্পনা আছে। এখন পর্যন্ত ৪টি পিকআপ, ১টি জিপ ও ৫০টি মোটর সাইকেল কেনা হয়েছে।
মোটরসাইকেলগুলো মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচটি মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছে। ৪৬৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে ৯ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে বনায়ন করা হয়েছে এবং ২৭৫ হেক্টর স্ট্রিপ বনায়ন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প আগামী ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। এটি বাস্তবায়ন করছে বন অধিদপ্তর। প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার ৩২ কোটি ৭২ লাখ টাকা অর্থায়ন করছে। বাকি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।
-
রাজনৈতিক শক্তি, আমলাতন্ত্র পুলিশের পরিবর্তন চাইবে না: শহীদুল
-
স্ত্রীর পাশে শায়িত হলেন গাফ্ফার চৌধুরী
-
গাফফার চৌধুরীকে সাংবাদিকদের শ্রদ্ধা
-
বাহরাইনে ছবির গল্পে-কথায় এক টুকরো বাংলাদেশ
-
প্রচার শুরু: মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছেন সিইসি ও কমিশনাররা
-
শহীদ মিনারে শনিবার দুপুরে গাফফার চৌধুরীকে শ্রদ্ধা
-
শান্তি মিশনে নিহত ২ বাংলাদেশির জন্য ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক
-
কোভিডে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছি: পিএসসি চেয়ারম্যান
সর্বাধিক পঠিত
- ২৫ বছরের চেষ্টা বিফল, বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে কানাডা
- ‘আর্জেন্টিনার জন্য প্রতিটি মিনিট, ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ’
- বাটলারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে ফাইনালে রাজস্থান, কোহলিদের বিদায়
- এগিয়ে আসছে রুশ বাহিনী, পূর্বাঞ্চল ছাড়তে পারে ইউক্রেইনীয় সেনারা
- টিভি সূচি (শনিবার, ২৮ মে ২০২২)
- ‘৩০ বলে ৩০ রান থেকে ৫০ বলে ৯০ করে ফেলতে পারে বাটলার’
- ‘ব্যালন ডি’অর জিততে মেসি-রোনালদো হও, নয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতো’
- ইউক্রেইনের ‘শত্রু’ তালিকায় উঠল কিসিঞ্জারের নাম
- রিয়াল-লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ানদের লড়াইয়ে রোমাঞ্চিত পেলে
- তিন সংস্করণেই এক নম্বর হবেন বাবর, কার্তিকের ভবিষ্যৎবাণী