রোহিঙ্গা সঙ্কট: ফের আশ্বাস চীনের

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে ‘গঠনমূলক ও সক্রিয় ভূমিকা’ পালনের প্রতিশ্রুতি আবারও এল চীনের কাছ থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 04:52 PM
Updated : 11 Sept 2019, 04:52 PM

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং তার দেশের সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরেন।

নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর দ্বিতীয় দফা উদ্যোগ গত মাসে ভেস্তে যায়। ১১ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে।

রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জনে মিয়ানমার ব্যর্থ হওয়াই প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে না। এক্ষেত্রে মিয়ানমারের মিত্র চীনের ভূমিকাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

চীনের রাষ্ট্রদূত সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে যান বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “চাইনিজ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চায়না গঠনমূলক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। মিয়ানমারে নিযুক্ত চায়নার রাষ্ট্রদূত এরই মধ্যে রাখাইন রাজ্য সফর করেছেন।”

বাংলাদেশকে চীনের বিভিন্ন সহযোগিতার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, “রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। তারা যেন নিরাপদে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।”

চীন বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্যতম প্রধান অংশীদার।

চীনে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে তার দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

ইহসানুল করিম বলেন, দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে, এমন প্রকল্পে গুরুত্ব দিতে চায় চীন।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চীনের ব্যবসায়ীদের শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) এর কার্যক্রম বৃদ্ধি পেলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হবে। 

প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'অসাধারণ' নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিরও প্রশংসা করেছেন লি জিমিং।

ইহসানুল করিম বলেন, সপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বর্তমানে ২২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা তুলে ধরেন চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে, যেখানে ২০০৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩২শ মেগাওয়াটেরর মতো।

প্রেস সচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন ভ্রমণ নিয়ে একটি বই প্রকাশের কথা প্রধানমন্ত্রী জানালে বইটি তাদের ভাষায় অনুবাদে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।