এ একাডেমির সার্বিক কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আয়োজিত বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে যোগ দিয়ে বুধবার এই আহ্বান জানান তিনি৷ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞরাও সম্মেলনে অংশ নেন৷
মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বুধবার আরডিএ‘র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক রাষ্ট্র৷ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরোত্তর উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন৷’’
বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত আরডিএ পল্লী উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে মন্তব্য করে স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, একাডেমির বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড- যেমন সুপেয় খাবার পানি নিশ্চিতকরণ, কমিউনিটি ভিত্তিতে বায়োগ্যাস সরবরাহ, পানি সাশ্রয়ী আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জৈবসার উৎপাদনসহ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে৷
‘‘দেশের জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে এসব কর্মকাণ্ড সারাদেশে ছড়িয়ে দিলে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশে রূপান্তর হবে, আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হবে৷’’
বঙ্গবন্ধুর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাস্তবসম্মত দিক নির্দেশনা দিতে বিশেষজ্ঞদের প্রতি অনুরাোধ রাখেন পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী৷
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে আরডিএর মহাপরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘সরকার ২০২১ ও ২০৪১ রূপকল্পে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের যে প্রয়াস ব্যক্ত করেছে সেখানে গ্রামগুলোতে নগর সুবিধার প্রসার বাড়ানো সম্ভব হলে বদলে যেতে পারে গ্রামীণ জনগণের জীবনচিত্র, দূর হতে পারে দারিদ্র৷
‘‘জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পৌঁছে যেতে পারে কাঙ্খিত মধ্যম আয়ের দেশে৷ এ বছর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রয়াসে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে আরডিএ৷’’