প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে সরকারের নদী রক্ষার উদ্যোগে সুফল মিলছে না অভিযোগ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বলছে, উচ্ছেদ ও দখল সমান্তরালে চলছে।
Published : 11 Sep 2019, 05:14 PM
বিশ্ব নদী দিবস সামনে রেখে বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন এ অভিযোগ।
তিনি বলেন, দেশের নদীগুলো শিল্পপতি ও ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের কবলে। সরকারের উপর মহল থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, তা নিচের স্তরে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
“শুধুমাত্র প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।এ কারণে একদিকে নদী থেকে দখল উচ্ছেদ হচ্ছে, অন্যদিকে আবার দখল হচ্ছে। নদী রক্ষায় কোনো সুফল মিলছে না।”
মতিন বলেন, নদী রক্ষায় বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিনের দাবিতে সরকার গুরুত্ব দেয়নি। দুর্নীতিবাজ আমলা ও প্রভাবশালীদের কারণে নদী দখল রোধ করা সম্ভব হয়নি।
“বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নদী রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। নদী দখলকালীদের চিহ্নিত করে, তাদের তালিকা দেশের সকল জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারিভাবে সারা দেশে চার হাজার ৪৪৩ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।”
এই তালিকা ধরে পর্যায়ক্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বাপার সাধারণ সম্পাদক।
২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবস সামনে রেখে আগের দিন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ওই দিন সকালে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকায় ৭০টি সংগঠনের নেতকর্মীরা জমায়েত হয়ে পদযাত্রা শুরু করবে। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে সদরঘাট টার্মিনালে গিয়ে শেষ হবে। এরপর নদী রক্ষায় বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা হবে।
এতে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার করা রয়েছে বলে জানানো হয়।
এই পদযাত্রায় সকল শ্রেণীর মানুষকে অংশ নিয়ে নদীর সামনে দাঁড়িয়ে দখলের প্রতিবাদ জানানো আহ্বান জানানো হয়।
বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব মিহির বিশ্বাস, বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল ও রিভারাইন পিপলের প্রধান নির্বাহী শেখ রোকন অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।