‘রাজহংসের’ আসা দুদিন পেছালো

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংসের’ দেশে আসা দুদিন পিছিয়ে গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 10:27 AM
Updated : 11 Sept 2019, 10:28 AM

বিমানের জনসংযোগ শাখার উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, শনিবার বিকেল পৌনে ৪টায় ‘রাজহংস’ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।

এয়ারক্রাফটির বৃহস্পতিবার ঢাকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও নির্মাতা কোম্পানি বোয়িং দুই দিন সময় চেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এ কারণে রাজহংসের দেশে আসতে সময় বেশি লাগছে।”

শেষ মুহূর্তে কারিগরি জটিলতায় রাজহংসের আসতে দেরি হচ্ছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর এলেও বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি তাহেরা খন্দকার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে তিনি বলেন, “এ বিষয়টা আমার জানা নাই।”

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার তাদের চতুর্থ ড্রিম লাইনার দেশে আসার পর শনিবার বেলা ১১টায় শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উড়োজাহাজটি উদ্বোধন করবেন।

সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে যাওয়ায় বিমান বহরে রাজহংসের অনর্ভুক্তির আনুষ্ঠানিকতা কখন সারা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানান তাহেরা খন্দকার।

মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ১০টি নতুন এয়ারক্র্যাফট কিনতে ২০০৮ সালে চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

তার মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ইতোমধ্যে বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে।

‘রাজহংস’ বহরে যুক্ত হলে সব মিলিয়ে বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬টি।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য উড়োজাহাজের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানির দরকার হয়।

২৭১ আসনের রাজহংসে বিজনেস ক্লাসের আসন থাকছে ২৪টি। ইন্টারনেট ও ফোনসহ অন্যান্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা এ উড়োজাহাজে পাওয়া যাবে।

বিমানের চার ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগে পাওয়া তিনটি উড়োজাহাজের নাম রাখা হয়েছে আকাশবীণা, হংসবলাকা ও গাঙচিল।

২০২০ সালের মার্চ-জুন মাসের মধ্যে কানাডা থেকে স্বল্প পাল্লার ৩টি নতুন ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হবে বলে বিমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।