টেকনাফ-উখিয়ায় থ্রিজি, ফোরজি বন্ধ

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির নির্দেশনায় কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় থ্রিজি ও ফোরজি সেবা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করেছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 08:01 AM
Updated : 11 Sept 2019, 09:01 AM

বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার এ নির্দেশনা দেওয়ার পর অপারেটররা মঙ্গলবার থেকে তা কার্যকর করছে।”

‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ দেওয়া এ নির্দেশনার ফলে টেকনাফ ও উখিয়ার গ্রাহকরা শুধু মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারলেও ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন না। কক্সবাজারের এই দুই উপজেলাতেই রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর শরণার্থী শিবির এলাকায় বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা থ্রিজি, ফোরজি সেবা বন্ধ করার জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

তার আগের দিন বিটিআরসির আরেক নির্দেশনায় রোহিঙ্গারা যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা না পায়, তা সাত দিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল সব মোবাইল অপারেটরকে।

বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের অনিবন্ধিত সিম বিক্রি বেআইনি। আর মোবাইল সিম নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। নির্বাচন কমিশনে সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মেলানোর পর ‘বায়োমেট্রিক’ নিবন্ধনের কাজ শেষ হয়।

এ নিয়ম অনুসরণ করা হলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বৈধভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ার কথা নয়।

কিন্তু কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার একটি বড় অংশের হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে বিভিন্ন সময়ে।

এসব অবৈধ মোবাইল সিম চাঁদাবাজি, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র এমনকি পাসপোর্টও করিয়েছেন বলে ইতোমধ্যে বেরিয়ে এসেছে।