তার আইনজীবীরা মঙ্গলবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই জামিন আবেদন দাখিল করেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করে রায় দেয়।
সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে না গিয়ে নতুন করে হাই কোর্টের অন্য বেঞ্চে আবার জামিন আবেদন করার এ ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “হাই কোর্টের শুনানির সময় এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হবে।”
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফৌজদারী কার্যবিধির কোথাও এমন কিছু লেখা নাই যে, জামিন আবেদন খারিজ হলে আপিল বিচারাধীন অবস্থায় আর জামিন চাওয়া যাবে না।
“আমরা প্রতিনিয়ত এরকমভাবে জামিন করেছি। একবার রিজেক্ট হয়েছে আবার করেছি। এটা দুদকের আইনজীবীও জানেন। এটা খালেদা জিয়ার মামলা বলে তিনি এখন নতুন কথা বলছেন।”
এবার কী যুক্তিতে জমিনের আবেদন করা হয়েছে জানতে চাইলে খালেদার আইনজীবী বলেন, “তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি ৭৪ বছর বয়সী একজন মহিলা, খুবই অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। একজন মানুষ কখন হাসপাতালে থাকে, যখন সে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকে, শারীরিক অবস্থা, বয়স, সামাজিক অবস্থান, অপরাধের ধরন- সবকিছু মিলিয়েই তিনি জমিন পেতে পারেন। আর এসব উল্লেখ করেই নতুন করে জামিন আবেদনটি করা হয়েছে।”
আগামী সপ্তাহে হাই কোর্টে জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে কায়সার কামাল জানান।
অপরাধের গুরুত্ব, সংশ্লিষ্ট আইনের সর্বোচ্চ সাজা এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদাসহ অন্য আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত- এ তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গত ৩১ জুলাই খালেদার প্রথম আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে রায় দেয় হাই কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালত মিলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তিন ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় হাই কোর্টে তার দশ বছর আর জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জজ আদালতে সাত বছরের সাজার রায় হয়েছে।
খালেদার আইনজীবীরা বলছেন, এই দুই মামলা ছাড়া বাকিগুলোতে তিনি জামিন পেয়েছেন। এই দুই মামলায় জামিন পেলে তার মুক্তিতে আর বাধা থাকবে না।
এর মধ্যে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল সর্বোচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
আর জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের ৭ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার করা আপিল হাই কোর্টে বিচারাধীন।