শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মন্ত্রী ধানমণ্ডিতে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে সায়েন্স ল্যাব মোড় পেরিয়ে সিটি কলেজের সামনের রাস্তায় ঢোকার আগে এই হামলা হয়।
হাতবোমায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহাবুদ্দিন (৪০)। তার ডান পায়ে গোড়ালির উপরে যখম হয়েছে। এ ঘটনায় আমিনুল নামে ট্রাফিক পুলিশের একজন কনস্টেবলও সামান্য আহত হয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে মন্ত্রী জানান, যানজট থাকায় তার প্রটেকশনের গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন এএসআই শাহাবুদ্দিন।
“ওরা অনেক সময় হয় কী, সাধারণত ট্রাফিক জ্যাম থাকলে নেমে ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথা বলে বা নিজেরা একটু ক্লিয়ার করে।”
বিস্ফোরণের আওয়াজ পেলেও সেটা যে ককটেল হামলা তা তখন বুঝতে পারেননি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
পরে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে তাকে এই হামলার খবর জানানো হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
পরে হামলায় নিজের প্রটেকশনের কর্মকর্তার আহত হওয়ার খবর জানতে পারেন বলে জানান তিনি।
যারা দেশে অস্থিরতা তৈরি করে সুবিধা নিতে চায়, তারাই এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারিও সেখানে যান।
ইতোমধ্যে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
এই হামলার পর সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে বলে বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।