একই সঙ্গে এই শিক্ষকের বিভাগে যোগদান নিশ্চিত করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সীমন্তী আহমেদ।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, “অধ্যাপক রুশদ ফরিদী বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল আদালত যথাযথ ঘোষণা করেছেন। ফলে রুশদ ফরিদীকে সিন্ডিকেটের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো অবৈধ। তাই রুশদ ফরিদীর বিভাগে যোগদান নিশ্চিত করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালা অনুসারে কেবল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্টাফকে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে পারেন। তবে যাকে ছুটিতে পাঠানো হবে তিনি চাইলে আচার্যের কাছে আপিল করতে পারেন। কিন্তু কাউকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর এখতিয়ার সিন্ডিকেটের নেই।
২০১৭ সালের ১২ জুলাই সিন্ডিকেট ড. রুশদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায়। এরপর ১৬ জুলাই সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিস দেন তিনি। নোটিসের জবাব না পাওয়ায় ওই চিঠি চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করেন এই শিক্ষক।