গুলশানে ১২ দোকানকে ৬৬ লাখ টাকা জরিমানা

অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রি করায় ঢাকার গুলশানে ১২টি দোকানকে ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বিএসটিআই ও র‌্যাবের যৌথ দল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2019, 04:24 PM
Updated : 22 August 2019, 04:24 PM

বুধবার রাতে গুলশান শপিং সেন্টার ও গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটে এই অভিযান চালানো হয় বলে বিএসটিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিএসটিআইএর সিএম বিভাগের ফিল্ড অফিসার মাজহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এই অভিযানে অবৈধভাবে আমদানি করা প্রসাধনী এবং শিশুদের জন্য দুধজাতীয় খাদ্যপণ্যের সন্ধান পান তারা। প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোট ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গুলশান শপিং সেন্টারে রায়হান ট্রেডার্সকে ১৫ লাখ টাকা, মজিবুর ট্রেডার্সকে ১০ লাখ টাকা, রাইসা ট্রেডার্সকে ৬ লাখ টাকা, হেলাল এন্টারপ্রাইজকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটে এসএ ট্রেডার্সকে ৫ লাখ টাকা, নিউ রুপম ট্রেডার্সের দুটি দোকানকে ৬ লাখ করে ১২ লাখ টাকা, তাহের এন্টারপ্রাইজকে ৫ লাখ টাকা এবং বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মাজহারুল বলেন, “এসব দোকানে আমদানি তথ্যবিহীন ও বিএসটিআইএর অনুমোদনবিহীন বিদেশি প্রসাধনী ও শিশু খাদ্যপণ্য ছিল। এর মাঝে অনেক পণ্যেরই মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছিল না।”

নিউ রুপম ট্রেডার্সের এক বিক্রয়কর্মী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা সাধারণত লাগেজ পার্টির কাছ থেকে কেনা বিধায় আমদানি কাগজ থাকে না।”

এদিন র‌্যাব-৩ এর ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে ৮টি দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদা আক্তারের নেতৃত্বে ভাটারা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় বৃহস্পতিবার।

বিএসটিআইর সিএম বিভাগের ফিল্ড অফিসার খায়রুল ইসলাম জানান, লাইসেন্স ছাড়া বৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে চানাচুর, বিস্কুট, পাউরুটি ও কেক পণ্য বিপণন করায় মা বেকারি অ্যান্ড সুইটস ও ভাই ভাই বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারিকে ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

লাইসেন্স নাবায়ন না করে ড্রিংকিং ওয়াটার বাজারজাত করায় ক্রিস্টাল ড্রিংকিং ওয়াটারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ল্যাবরেটরি থাকলেও সেটি ছিল অব্যবহৃত, জারগুলো ফুডগ্রেডেড ছিল না। অভিযানে ওই প্রতিষ্ঠানের ২২৫টি জার ধ্বংস করা হয়।