পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় বুধবারও রাজধানীর শ্যামলী থেকে কল্যাণপুরগামী সড়কে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান নিয়েছিল শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রমিকরা ফের রাস্তায় নামলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে উঠিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শ্রমিক শামীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বকেয়া পরিশোধ না করে কর্তৃপক্ষ কারখানাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
“ঈদের পরে খোলার দিনে এসে শ্রমিকরা কারখানা বন্ধের নোটিস দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। আজও (বৃহস্পতিবার) তারা রাস্তায় নামলে পুলিশ লাঠিপেটা করে উঠিয়ে দেয়।”
শ্যামলীতে আলিফ গার্মেন্টের তিনটি কারখানা রয়েছে। মালিকপক্ষ এখান থেকে কারখানা চাঁদপুরে নিয়ে যাচ্ছে বলে শুনতে পেয়েছেন শ্রমিকরা।
শামীম বলেন, “বিজিএমইএর কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ র আইন দেখিয়ে বলেছেন, শ্রমিকরা নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের বেসিক, এক মাসের বেতন এবং সার্ভিস চার্জ পাবেন। অনেক শ্রমিক তার কথায় আশ্বস্ত হলেও সবাই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না।”
শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ ও বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে।
আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) শরীফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের বৈঠক চলছে। বৈঠকে একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি।”