সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা। একক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী সামলানো এই সরকারি হাসপাতালের ২৫ জন চিকিৎসকসহ ৬২ জন কর্মী এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুয়ায়ী, বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছয়জন চিকিৎসক এবং ১২ জন নার্স রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদের বাইরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে দুইজন করে হাসপাতাল কর্মী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
গত জুনে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ক্রমশ তা বেড়েছে। সরকারি হিসাবে এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৫৯২ জন।
এই ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্মীরা ৩০০ জন বলে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৯৪ জন চিকিৎসক, ১৩০ জন নার্স এবং ৭৬ জন হাসপাতাল কর্মী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুরাণ ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে শুধু চারজন নার্স ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই হাপসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়েছেন দুই হাজার ৮৪৯ জন মানুষ।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই হাজার ৪৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী। এই হাসপাতালের ১১ জন চিকিৎসক এবং ১৪ জন নার্স ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
৯২৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন চিকিৎসক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪ জন চিকিৎসক এবং ২২ জন নার্স ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই হাসপাতালে আড়াই হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩৪ জন চিকিৎসক, নার্স ৫৮ এবং অন্যান্য হাসপাতাল কর্মী ৪০- সব মিলিয়ে ১৩২ জন এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে স্কয়ার হাসপাতালের সাতজন চিকিৎসক ও ২৭ জন নার্স, সেন্ট্রাল হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসক ও ১৭ জন নার্স এবং শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ জন চিকিৎসক ও চারজন নার্স ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।