বগুড়া একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী গত ১৮ জুন নিজের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল।
তবে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করলে বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন বগুড়া সিআইডিকে অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বগুড়ার জলেশ্বরীতলার জেল বাগান লেনের তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির আহমেদ এবং একই এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে শাহরিয়ার অন্তুর বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বাদী।
তিনি বলেন, আবিরের সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আবিরের প্ররোচনায় তার মেয়ে নিজের নগ্ন ছবি মোবাইলে তুলেছিল, যা আবীর তার ফোনে নিয়ে নেয়। পরে আবির ও অন্তু তা ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়। যার কারণে তার মেয়ে আত্মহত্যা করে।
বাদী জানান, মেয়ের মৃত্যুর পর তিনি তার মোবাইল ফোন ঘেঁটে আসামিদের প্ররোচনার বিষয়টি ধরতে পারেন।
তখন বগুড়া সদর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করতে চাইলেও থানা তা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাদী বলেন, আত্মীয়-স্বজনসহ শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করার পর তিনি সাইবার ট্রাইব্যুনালের মামলার করার সিদ্ধান্ত নেন।