৫ কোটি টাকা আত্মসাতে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার আসামি জেলার সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2019, 05:27 PM
Updated : 20 August 2019, 05:27 PM

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

সিরাজুল বর্তমানে হিসাব মহা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে গত ১০ জুলাই কিশোরগঞ্জের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলাম ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক। পরে তা আদালতে দাখিল করা হয়।

গত বছরের ১৭ জানুয়ারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহ অঞ্চলের একটি দল পিরোজপুর থেকে সেতাফুলকে আটক করে।

ওই দিন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে সেতাফুলকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলায় সেতাফুলের বিরুদ্ধে জাল দলিলের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। কিশোরগঞ্জ থেকে বদলির পর তিনি একই পদে পিরোজপুরে দায়িত্বরত ছিলেন। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ তহবিল থেকে ১৫ কোটি টাকা অন্যদের সঙ্গে যোজসাজশ করে তুলে নেন। এর মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা তিনি ‘মেরে দেন’ এবং বাকি ১০ কোটি টাকার চেক পরে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন আটকে দেয়।

এরপর এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে একই বছরের ৬ মার্চ কিশোরগঞ্জে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মো. সৈয়দুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তার বাসা থেকে আত্মসাতের ৯২ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক।

পরে এ মামলার দীর্ঘ তদন্তে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সেতাফুলের সাথে আরও আটজনের সংশ্লিষ্টতা পায় দুদক।

সেতাফুল ও সিরাজুল ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলা হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের সাবেক সুপার মোহাম্মদ গোলাম হায়দার (বর্তমানে নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়), জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর মো. সৈয়দুজ্জামান ও অফিস সহায়ক মো. দুলাল মিয়া।

এছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল ইসলাম খান (বর্তমানে এজিএম), পূবালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মুখলেছুর রহমান, কিশোরগঞ্জের মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আমিনুল ইসলাম এবং ঢাকার ডেমরার বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম।