সোমবার সকালে কমলাপুর স্টেশনে একটি পরিত্যক্ত বগির টয়লেটে আসমা বেগম (১৮) নামে ওই তরুণীর লাশ পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠায় পুলিশ।
ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক প্রদীপ বিশ্বাস মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এমন আলামত মিলেছে। তবে আরও নিশ্চিত হতে পরীক্ষাগারে পাঠানো নমুনার প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”
তিনি জানান, আসমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে আলামত মিলেছে।
পঞ্চগড়ের কৃষিজীবী আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে আসমা রোববার সকালে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে জন্মসনদ দেখে পুলিশ পঞ্চগড়ে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর আসমার লাশ পঞ্চগড়ে নিয়ে যায় তার পরিবার।
এই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা তদন্ত করছে কমলাপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ। মামলার তদন্তে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো অগ্রগতির খবর মেলেনি।
রেলওয়ে (ঢাকা) পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।”
আসমা কখন কিভাবে কার সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন, সেই তথ্য এখনও উদ্ঘাটিত হয়নি।
তবে তার পরিবারের সন্দেহ মারুফ হাসান বাধন (২০) নামে এলাবকার এক তরুণকে।
রাজ্জাক বলেন, তার মেয়ের সঙ্গে বাদলের ‘সম্পর্ক’ ছিল, সেই এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
লাশ উদ্ধারের পর থেকে বাদলের সন্ধান পাচ্ছে না আসমার পরিবার। তার ফোন বন্ধ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্জাক।