ঢাকার খাল উদ্ধার ও দখলকারীদের তথ্য চায় দুদক

ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং ওয়াসার আওতাধীন খালগুলো দখলকারী এবং তা উদ্ধারে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার হালনাগাদ তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2019, 01:03 PM
Updated : 20 August 2019, 01:16 PM

কমিশনের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানের সই করা চিঠি মঙ্গলবার ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচারয্য।

আলাদা আলাদা চিঠিতে দুই প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১৫ কাযদিবসের মধ্যে এসব তথ্য ছক আকারে জানাতে বলা হয়েছে।

ঢাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে বেদখলের কারণে খালগুলোতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অনেকদিনের। আর খাল দখলে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠে বিভিন্ন সময়ে।

প্রভাবশালীদের কারণে খালগুলো উদ্ধার সম্ভব নয় বলে গত বছর এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।

ঢাকায় দখল বন্ধে বিভিন্ন সময় আদালতকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।

২০১৭ সালের অক্টোবরে হাই কোর্ট খাল দখল বন্ধে জেলা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর ওই বছরের ডিসেম্বরে হাই কোর্ট রাজধানীর ৫০টি খাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেয়।

এতকিছুর পরও ঢাকার খালগুলো কখনই পুরোপুরি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। মাঝেমধ্যে উচ্ছদ অভিযান চালানো হলেও কয়েকদিন পর আবার দখলদাররা ফিরে আসে।

মঙ্গলবার ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং ওয়াসাকে দেওয়া দুদকের চিঠিতে বলা হয়, “দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ঢাকা ওয়াসার অধিক্ষেত্রাধীন অধিকাংশ সরকারি খালসমূহ প্রভাবশালী ভূমি দস্যূদের দ্বারা বেদখল হয়ে গেছে।

“এছাড়া অনেক খাল কেবলমাত্র যথাযথ সংস্কার ও পুনর্খননের অভাবে ভরাট হয়ে গেছে। কোনো কোনো খাল ময়লা-আবর্জনা ও পরিত্যক্ত বর্জ্য ফেলার কারণেও ভরাট হয়ে যাচ্ছে।”

এর ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট, পরিবেশ বিপর্যয়সহ বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

“বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেদখলকৃত খালসমূহ পুনরুদ্ধার করে সংস্কার ও সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।”

চিঠিতে ঢাকা ওয়াসা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের অধীনে কতগুলো খাল রয়েছে, কতটি খাল বেদখল ও কার দখলে আছে, খাল উদ্ধারে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং কোন কোন খাল উদ্ধার করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

দুদকের চিঠির বিষয়ে জানতে ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান এবং ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানকে ফোন করা হলেও তারা কল ধরেননি।