দূষণ রোধের কাজে দুর্নীতি খুঁজতে মাঠে নামছে দুদক

সরকারি-বেসরকারি যেসব সংস্থা ঢাকাসহ মহানগরগুলোতে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, অবহেলা ও হয়রানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2019, 02:41 PM
Updated : 19 August 2019, 02:41 PM

এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিগগিরই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দুদক ‘বিশেষ সভা’ করবে বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “অংশীজনদের মতামতের আলোকে যেসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি-অনিয়ম হয় তা চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে কমিশন।”

সোমবার কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে দুদকের ‘ প্রতিরোধ’ অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় দদুক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, "পরিবেশ দূষণ রোধে নিয়োজিত সংস্থাসমূহের কতিপয় কর্মচারীর দুর্নীতি ও অবহেলার কারণেই দেশের মানুষ বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।

"খাদ্য দূষণ, স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, নগরের পরিচ্ছন্নতা, পানি দূষণ, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের সমন্বিত নেতিবাচক ফলাফল হচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।”

বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই দুদক এই অনুসন্ধানে নামতে যাচ্ছে বলে ইকবাল মাহমুদ জানান।

তিনি বলেন, “পরিবেশ দূষণ রোধ করা যাদের দায়িত্ব, তাদের মধ্যে কতিপয় কর্মচারীর দুর্নীতির কারণে এ দেশের মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে মর্মে কমিশনে অভিযোগ আসছে।"

লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন যেমন সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তেমনি বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণেও ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সড়কে কীভাবে লাইসেন্স ছাড়া চালক অথবা ফিটনেস ছাড়া যানবাহন চলাচল করতে পারছে- সেই প্রশ্নও তোলেন দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, “সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা কঠিন। তাই সকলের সহযোগিতা নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক নজরদারি বৃদ্ধি করবে।”

প্রয়োজনে এসব কার্যক্রম কমিশনের গোয়েন্দা নজরদারিতেও আনা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন ইকবাল মাহমুদ।