সাব্বির হোসেন রাফি নামের ওই তরুণ বিএএফ শাহীন স্কুল ও কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়তেন।
গেণ্ডারিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সাজু মিয়া বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে করাতিটোলায় একটি তিন তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন রাফি।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ওই ভবনের নিচ তলাতেই রাফিদের বাসা। তার বাবা ওই ভবনের কেয়ার টেকার।
রাফির চাচা জামাল সরদার হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, “সকালে দাঁত মাজতে মাজতে ও বাসার ছাদে যায়। ছাদে রেলিং ছিল না। কোনোভাবে সেখান থেকে সে নিচে পড়ে যায়।”
ওসি বলেন, ওই ভবনের বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি সাজু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাফি সব সময় মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকত বলে রোববার রাতে বাবা-মা তাকে বকাঝকা করে। এর জের ধরে অভিমানে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করছি।”
তারপরও পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানান ওসি।