ডেঙ্গুতে চিকিৎসকপুত্র ও স্বাস্থ্য সহকারীর মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় এক চিকিৎসকের শিশুপুত্র এবং এক স্বাস্থ্য সহকারীর মৃত্যু হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকও মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2019, 04:51 PM
Updated : 15 August 2019, 05:25 PM

ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যায় চিকিৎসকপুত্র রাজ চৌধুরী। ২ বছর ১০ মাস বয়সী রাজ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নির্মল কান্তি চৌধুরীর ছেলে।

এদিন সকালে ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাদারীপুরের স্বাস্থ্য সহকারী তপন কুমার মণ্ডলের (৩৫)। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছিলেন।

এইডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য সরকারিভাবে দেওয়া হলেও বিভিন্ন হাসপাতাল ও জেলার চিকিৎসকদের কাছ থেকে অন্তত ১২৮ জনের তথ্য পেয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

রাজের মৃত্যুর খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল হাকিম।

হাসপাতালটির শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (পিআইসিইউ) কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আতিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিকিৎসক নির্মল চৌধুরীর ছেলে রাজকে বুধবার বিকালে ভর্তি করা হয়েছিল।

“তাকে গতকাল বিকাল ৪টার পর ভর্তি করা হয়। সে শক সিনড্রোমে চলে গিয়েছিল। এ অবস্থায় আজ দুপুরে তার মৃত্যু হয়।”

মাদারীপুর সদরের স্বাস্থ্য সহকারী তপনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. সবুর মিয়া।

তপন মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইলবাড়ী গ্রামের জদুনাথ মণ্ডলের ছেলে।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তপন ১৬ দিন আগে সরকারি আদেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে যোগ দিয়েছিলেন। কর্তব্যরত অবস্থায় গত ১১ অগাস্ট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তিনি।

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থতা বাড়লে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তপনকে। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।

ডেঙ্গুর বাহক এইডিস মশা

সিভিল সার্জন বলেন, “সেখানে তার রক্তের প্লাটিলেট ৩০ হাজারে নেমে আসে। তখন তাকে ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুধবার থেকে তাকে আইসিউতে রাখা হয়েছিল।”

বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সবুর মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তপনকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

“সে আগে থেকেই সাফার করছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজে পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পড়েছিল। সেখান থেকে ফরিদপুর চলে গিয়েছিল। অবস্থা খারাপ হলে সেখানকার একটা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। প্লাটিলেট ফল করার পর সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে ঢাকায় আনা হয়।

“এ অবস্থায় কাল আমাদের এখানে এসেছিল। তার ব্রেইন ডেড হয়ে যায় এবং আজ বেলা ১১টার দিকে সে মারা যায়।”