ঈদের দিনের সব বর্জ্য অপসারণের দাবি দুই মেয়রের

কোরবানির ঈদের দিন রাজধানীতে যে কোরবানির পশু বর্জ্য জমেছে, তার সবই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র। 

নিজস্ব প্রতিবেদকও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2019, 04:00 PM
Updated : 13 August 2019, 04:00 PM

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের নগর ভবনে আলাদা সংবাদ সম্মেলন থেকে বর্জ্য ব্যবস্থানার সার্বিক তথ্য তারা তুলে ধরেন।

দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ঈদের প্রথম দিন সোমবার বিকাল ৩টা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৭টি পশুর হাটের বর্জ্য এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য মিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে ।

আর উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার আগে তার এলাকায় ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য ল্যান্ডফিলে ফেলা হয়েছে।

মেয়র খোকন বলেন, “সবশেষ তথ্য অনুযায়ী আমাদের সব ওয়ার্ডের প্রায় শতভাগ বর্জ্য আমরা অপসারণ করতে পেরেছি। এটা আমাদের সূত্র নিশ্চিত করেছে।”

ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও অনেকে কোরবানি দেন বলে আরও ৫ হাজার টন বর্জ্য জমবে বলে ধারণা দেন দক্ষিণের মেয়র। তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা অপসারণ করবে।

তিনি জানান, গত বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোরবানীর পশুর হাটের সংখ্যা ছিল ১৪টি । ঈদ উল আজহার ৩ দিনে করপোরেশন মোট ১৯ হাজার ২০০ টন বর্জ্য অপসারণ করেছিল।

“এ বছর হাটের সংখ্যা ১৭টি। তাই বর্জ্যের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। এ বছর কোরবানির বর্জ্য অপসারণের পরিমাণ ২১ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়াবে।”

দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকার নাগরিকদের কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সেবা পেতে ০৯৬১১০০০৯৯৯- এ হটলাইন নম্বরে ফোন করার অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র।

নিয়মিত এবং অতিরিক্ত মিলিয়ে মোট ৯ হাজার ৫০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ১৫২টি খোলা ট্রাক, ৮২টি কন্টেইনার বক্স, ৬৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ৮০টি ডাম্প ট্রাক, ২৯টি পানির গাড়ি, ২৩টি পে লোডার, ১২টি টায়ারডোজারসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।  

আর উত্তরের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোরবানির পশু বর্জ্য অপসারণ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪৩৮টি বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। নিজস্ব ২ হাজার ৪০০ কর্মীর পাশাপাশি তারা ৯ হাজার ৫০০ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ দিয়েছিল এ কাজে।

মেয়র আতিকুল বলেন, সোমবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩, ৭, ১১, ১৭ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সব বর্জ্য অপসারণ করে ওয়ার্ডগুলোকে রাতেই বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেন কাউন্সিলররা।

“এরপর ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়। নির্ধারিত স্থানে কনটেইনারে বর্জ্য জমা হওয়ার পরে তা ল্যান্ডফিলে পরিবহনের কাজ শুরু হয়। আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে সব অঞ্চল বর্জ্যমুক্ত হয়ে যায়।”

নগরবাসী সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি না দেওয়ায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আশানুরূপ গতিতে এগোতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।