সোমবার ঈদের দিনের দুপুরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
শেলীর ছেলে আরিফ ইবনে মিজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন তার বাবা। মাসখানেক আগে তার স্ট্রোকও হয়েছিল।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেলী বেসরকারি গবেষণা ও প্রকাশনা সংস্থা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিডিআরবি) প্রধান ছিলেন।
সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষকতা ছেড়ে ১৯৬৭ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন শেলী। চাকরিতে থাকা অবস্থায় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পিএইচডি করেন।
সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক থাকা অবস্থায় ১৯৮০ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন শেলী। পরে এইচএম এরশাদ সরকারের তথ্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
সাপ্তাহিক ‘সচিত্র স্বদেশ’ এর উপদেষ্টা সম্পাদক এবং ইংরেজি দৈনিক ‘বাংলাদেশ টাইমস' ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শেলী বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত লিখতেন। সমাজবিজ্ঞান ও রাজনীতি বিষয়ক বই ছাড়াও কবিতা, উপন্যাস ও ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন তিনি।
মিজানূর রহমান শেলীর স্ত্রী সুফিয়া রহমান ২০১৬ সালে মারা যান। আরিফ ইবনে মিজান ও তাহমিদ ইবনে মিজান তাদের দুই সন্তান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরিফ জানান, তার বাবার মরদেহ আপাতত শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার তাকে দাফন করা হতে পারে।