ডেঙ্গু: মেয়র আতিকের ভাবনায় আগামী বছর

এবছরের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনও নিয়ন্ত্রণে না এলেও আগামী বছরের ভাবনা ঘুরছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের মাথায়। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2019, 12:26 PM
Updated : 12 August 2019, 12:26 PM

তিনি বলেছেন, “আগামী বছর ডেঙ্গু কীভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়, আমরা মনে করি, আমাদের সে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। বড় এ চ্যালেঞ্জটি এখন আমাদের সামনে।”

কোরবানির ঈদের দিন সোমবার দুপুরে শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তদের সঙ্গে কুশল ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সামনে ঢাকা উত্তরের মেয়র একথা বলেন।

আতিকুল বলেন, “ঈদের দিন মানে খুশির দিন। কিন্তু যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সে খুশি থেকে বঞ্চিত। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ স্টাফরাও বঞ্চিত হচ্ছেন।

“তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী, ডাক্তার, নার্সদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এসেছি।”

বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, “বিশেষভাবে অনুরোধ করছি তিন দিনে, একদিন জমা পানি ফেলে দিন।

“আমরা যেভাবে নিজেদের ঘর পরিষ্কার রাখি, সেভাবে আমাদের চারপাশটাও পরিষ্কার রাখা উচিত। ঘরের পাশাপাশি ঘরের আঙিনাও আমাদের পরিষ্কার রাখতে হবে।”

এর আগে ঈদের সকালে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে যান আতিকুল। এসময় সহকারী একান্ত সচিব সাইফুদ্দিন ইমনসহ সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তাও মেয়রের সঙ্গে ছিলেন।

শিশু হাসপাতালের ১, ২, ১০ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ডেঙ্গু সেল গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জরুরি বিভাগের পাশে ডেঙ্গু শনাক্ত করতেও একটি সেল কাজ করছে।

এই দুই হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের  চকলেট, জুস ও খেলনা দেন ঢাকা উত্তরের মেয়র।

তিনি বলেন,  “বাচ্চাদের জন্য কিছু চকলেট, খেলনা আর জুস নিয়ে এসেছি। এগুলো পেয়ে তারা কিছুটা হলেও খুশি হবে।”

ডেঙ্গু আক্রান্তদের পাশাপাশি মেয়র হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন এবং ডেঙ্গু চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

এদিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ঈদের আগের রাতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

দুই বছর ৬ মাস বয়সী সামিয়া লক্ষ্মীপুরের কালী বাজার এলাকার মো. রুবেলের মেয়ে। হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সোয়া ১টায় তার মৃত্যু হয়।

গত ৭ অগাস্ট লক্ষ্মীপুর থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত সামিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

সেসময় তার অবস্থা খারাপের দিকে ছিল উল্লেখ করে হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার শেফালি মৃধা বলেন, “প্লাটিলেট একেবারে কমে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।”

সরকার এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করলেও সংবাদমাধ্যমে আসা সংখ্যা এর কয়েক গুণ বেশি। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও জেলার চিকিৎসকদের কাছ থেকে যে তথ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পেয়েছে তাতে এ বছর ডেঙ্গুতে অন্তত ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।