ঈদ জামাতে লাখো মুসলমান

বরাবরের মত এবারও ঈদের প্রধান জামাত হয়েছে ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে, যেখানে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা, বয়সের লাখো মুসলমান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2019, 03:41 AM
Updated : 12 August 2019, 04:06 AM

ত্যাগের আহ্বান নিয়ে সোমবার বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব বাংলাদেশে পরিচিত কোরবানির ঈদ নামে। 

ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়ে রেখেছিল আবহাওয়া অফিস; তবে রাজধানীতে ঈদের নামাজের সময় বৃষ্টি ভোগান্তির কারণ হয়নি।   

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে অংশ নেন।

ইমামতি করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন তিনি।

গত কয়েক বছরের মত এবারও ঈদ জামাত ঘিরে ছিল নিরাপত্তার কড়াকড়ি। যারা ঈদ জামাতে অংশ নিতে এসেছেন, তাদের যেতে হয়েছে তল্লাশির মধ্য দিয়ে।

জায়নামাজ আর ছাতা ছাড়া আর কিছু যাতে কেউ সঙ্গে না আনেন, সে বিষয়ে আগেই সবাইকে সতর্ক করেছিল পুলিশ। বরাবরের মতো জাতীয় ঈদগাহে ছিল নারীদের নামাজ পড়ার আলাদা বন্দোবস্ত।

বায়তুল মোকাররমে এবারও সকাল ৭টা থেকে পাঁচটি জামাতের আয়োজন হয়েছে। পাড়ায় মহল্লায় মসজিদ আর ঈদগাহগুলোর সীমানা ছাড়িয়ে রাস্তায় ম্যাট ও জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজে অংশ নিতে দেখা গেছে বহু মানুষকে।

দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে প্রতিটি জামাতে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন সবাই, যাতে বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মুসলমানদের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

এরপর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন সবাই; বাড়ি ফিরে যোগ দেন পশু কোরবানির আয়োজনে।