সদরঘাটে স্বস্তির যাত্রা

ঈদযাত্রার শেষ দিনেও ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় আর বাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় উত্তরের পথের যাত্রীদের যখন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, নৌপথে দক্ষিণের যাত্রীরা তখন স্বস্তি নিয়েই ঢাকা থেকে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2019, 05:46 AM
Updated : 11 August 2019, 05:55 AM

বিআইডব্লিউটিএ বলছে, পন্টুনে পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় রোববার সকালে যাত্রীদের ঢাকা সদরঘাটে এসে অপেক্ষা করতে হয়নি। ফলে উপচে পড়া ভিড় হয়নি, অসহনীয় পরিস্থিতিও এড়ানো গেছে। 

তাছাড়া রোজার ঈদে সদরঘাটে যেমন যাত্রীর বিপুল চাপ দেখা যায়, কোরবানির ঈদে তা কিছুটা কম হয় বলে জানালেন বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শকরা।

শনিবার সদরঘাট থেকে ১৫০টি লঞ্চ দক্ষিণ জনপদের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছিল; আর রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ছেড়ে গেছে ৪০টি লঞ্চ।
বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা বলেন, “রোববার সকালে কিছুটা চাপ বাড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পন্টুন অনেকটা ফাঁকা হয়ে এসেছে।”

এম ভি তাসরিফ লঞ্চের ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শেষবেলার যাত্রীরা এলে বিকালের লঞ্চগুলোতে আবার ভিড় বাড়বে।

রোববার ভোরে যাত্রীর চাপ বেশি হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় এবং চাপ সেভাবে না বাড়ায় ঝামেলা ছাড়াই সব হচ্ছে বলে জানালেন বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন।

সদরঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ ২৫৩ জন সদস্য পালা করে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি দিচ্ছেন বলে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মওদুত হাওলাদার জানান।

তিনি বলেন, ৪৬টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।৭ থেকে ১৭ অগাস্ট এই বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।

মহানগর পুলিশ ছাড়াও, নৌপুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, ফায়ারসার্ভিস ও বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক সদরঘাটে দায়িত্বরত আছেন।  

সদরঘাট থেকে প্রতিদিন ৪৩টি রুটের দুই শতাধিক লঞ্চ ছেড়ে যায়।