তবে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী কীভাবে ওই ভবন থেকে ‘পড়ে গেলেন’ তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক জানিয়েছেন।
নিহত তানজিনা আক্তার রূপা দক্ষিণ গোড়ানের আলী আহম্মেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ছিলেন। ওই এলাকাতেই তাদের বাসা।
ঘটনার পর রূপার সৎ ভাই হিসেবে পরিচয় দেওয়া জুবায়ের আহম্মেদ সম্রাট নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
সিটি সেন্টারের ১৪ তলায় একটি অফিসের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন সম্রাট। তিনি বলছেন, সিটি সেন্টার ঘুরে দেখার জন্য ছুটির দিনের দুপুরে তার কাছে এসেছিলেন তার সৎ বোন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সম্রাট বলেন, “ভবনের ৩২ তলার গিয়ে হেলিপ্যাড দেখার পর ১৪ তলায় এসেছিল। ওকে রেখে আমি ওই ফ্লোরেই গার্ড অফিসে গিয়েছিলাম। একটু পরে ভারী কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনে এসে দেখি রূপা নাই। পরে দেখি ও নিচে পড়ে আছে।”
মতিঝিল থানার এসআই আরিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রূপা ওই ভবন থেকে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি ওমর ফারুক বলেন, “সম্রাটকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে নিজেকে রূপার সৎ ভাই বলে পরিচয় দিয়েছে। তার বক্তব্যের সত্যতা আমরা যাচাই করে দেখছি।