কোনো কোনো ট্রেন ছাড়েছে নির্ধারিত সময়ের দশ থেকে ১২ ঘণ্টা পর। আর এই পুরোটা সময় যাত্রীদের বসে থাকতে হয়েছে প্ল্যাটফর্মে।
ঈদের ছুটি রোববার শুরু হলেও তার আগে শুক্র ও শনিবার দুই ছুটির দিনেই বাড়ির পথ ধরেছেন বেশিরভাগ মানুষ। এর মধ্যে শুক্রবার ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশে লাইনচ্যুত হলে ট্রেন বন্ধ থাকে সাড়ে তিন ঘণ্টা।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, সুন্দরবনের ওই দুর্ঘটনাই সূচি বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে যেসব ট্রেন যায়, তার সবগুলোই কম বেশি বিলম্বিত হচ্ছে।
এই ট্রেনের যাত্রী রাকিবুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারারাত স্টেশনে ছিলাম; তারপরও বাড়ি যেতে পারছি এটাই আনন্দ।”
রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস শনিবার সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সূচি পিছিয়ে দুপুর আড়াইটায় নতুন সময় রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস শনিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল, নতুন সূচি অনুযায়ী তা দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা ছাড়ার কথা। তবে বেলা ১১টা পর্যন্ত ট্রেনটি ঢাকাতেই আসেনি। ঢাকায় আসার পর সেটি আবার যাত্রী তুলে খুলনার উদ্দেশ্যে ছাড়বে।
নীল সাগরের যাত্রী মেহেদী হাসান বলেন, “সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা। এখনও স্টেশনে বসে আছি। রাতে নাকি ছাড়বে, কিন্তু ভরসা পাচ্ছি না।”
লালমনি এক্সপ্রেস কমলাপুর ছাড়ার কথা ছিল সকাল সোয়া ৯টায়, সেই ট্রেন এখন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়।
পঞ্চগড়ের ট্রেন একতা এক্সপ্রেসের সূচি সকাল ১০টা থেকে বদলে ১১টা ২৫ এ রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ট্রেনটি ছেড়েছে আরও আধা ঘণ্টা দেরিতে।
খুলনার যাত্রী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “স্ত্রী-ছেলেমেয়ে নিয়ে সকাল ৬টায় স্টেশনে এসেছি। ৬টা ২০ মিনিটে সুন্দরবন ছাড়ার কথা ছিল। সেটা নাকি সাড়ে ১২টায় ছাড়বে। এতক্ষণ বসে থেকে বাচ্চারা ক্লান্ত। ট্রেন কখন আসবে জানি না। বিকল্প কোনো উপায় নেই। অপেক্ষা করতেই হবে।”