‘আল্লাহ’ যেন কাউকে ডেঙ্গু না দেয়: অর্থমন্ত্রী

ডেঙ্গুর ধকল সয়ে আসা সত্তরোর্ধ্ব অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আর কেউ যেন প্রাণঘাতী এই অসুখে আক্রান্ত না হন সেই প্রার্থনা করেছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2019, 03:48 PM
Updated : 25 July 2019, 06:56 PM

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “ডেঙ্গুর যন্ত্রণা কী, আমি বুঝি। আল্লাহ যেন কারও ডেঙ্গু না দেয়।”

মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের ভিড়ে ঢাকার হাসপাতালগুলো যখন নতুন রোগীদের জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছে সে সময় এই রোগ নিয়ে নিজের নির্মম অভিজ্ঞতা জানালেন অর্থমন্ত্রী।

গত মাসের শুরুর দিকে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। সে সময়ই আক্রান্ত হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের দুদিন আগে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

বাজেট দিতে হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদে যান অর্থমন্ত্রী, কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী তার হয়ে বাজেট উপস্থাপন করেন।

ওই দিনই তার জীবনের ‘চরম সংকটের দিন’ ছিল বলে জানান ৭২ বছর বয়সী মুস্তফা কামাল।

“কারণ এর তিন দিন আগে আমি ডেঙ্গু জ্বরে ভয়ানকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং হাসপাতালে ভর্তি হই।”

অর্থমন্ত্রী আর কারও যাতে এই রোগ না হয় সে প্রার্থনা করলেও তার অসুস্থতার পরেই গত এক মাসে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে আট হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যদিও সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা আটজন বলা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত মোট নয় হাজার ২৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, যেখানে ১৫ জুন পর্যন্ত এই রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৮৬ জন।

আবার ডেঙ্গুর ভয়ে পরিকল্পনা কমিশনে যাচ্ছেন না বলে গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।

ওই দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, “অফিস এখন দুই জায়গায় করব (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়)। কিন্তু ওখানে বেশি মশা।

“এ পর্যন্ত দুইবার কামড় দিয়েছে একবার চিকুনগুনিয়া ও আবার ডেঙ্গু… এটা কি কথা হল নাকি? আমি আর ভয়ে ওখানে যাচ্ছি না।”

ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠা মুস্তফা কামাল দুঃসময়ে পাশে থাকাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “শুধু আপনারাই নন, পুরো দেশবাসী আমার অসুস্থতার সময় বন্ধুর মতো পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছিলেন, সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন। এজন্য আপনাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।”