শেখ হাসিনায় আস্থা বেড়েছে, উদ্বেগ ধর্ষণ-অপরাধ নিয়ে: জরিপ

টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর ছয় মাসের কার্যক্রমে শেখ হাসিনার উপর দেশের মানুষের আস্থা আরও বেড়েছে বলে একটি জরিপে উঠে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2019, 02:16 PM
Updated : 25 July 2019, 02:16 PM

‘কলরেডি’ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই জরিপ চালিয়ে আরও দেখেছে, নতুন সরকারের ছয় মাসে ধর্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেশি নাগরিকদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘কলরেডি’ তাদের জরিপের ফল প্রকাশ করে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ আবুল কালাম বলেন, বর্তমান সরকারের প্রথম ছয় মাসের কর্মতৎপরতা নিয়ে মানুষের মূল্যায়ন জানতে গত ৮ থেকে ১৪ জুলাই মোবাইলে ফোনে সাক্ষাৎকারে জরিপটি চালায় তারা।

জরিপ পরিচালনায় যুক্ত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন, শ্রোতাদের কাছে প্রশ্ন ছিল সরকারের আগের দুই মেয়াদের তুলনায় গত ৬ মাস কেমন গেছে?

“এতে দেখা গেছে, ২৬ শতাংশ মানুষের মূল্যায়ন ‘খুবই ভালো’ এবং ২৯ শতাংশ মানুষের কাছে ‘ভালো’ মনে হয়েছে গত ৬ মাস। তবে ৬ শতাংশ মনে করেন পরিস্থিতি ‘খারাপ’, ৫ শতাংশ মানুষের কাছে পরিস্থিতি ‘খুবই খারাপ’।”

জরিপে অংশ নেওয়া ৩৪ শতাংশের মূল্যায়ন, সরকারের কার্যক্রম আগে যেমন ছিল, এখনও তেমন।

কলরেডির জরিপ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনার কাজে ৬৬ শতাংশ মানুষ ‘খুবই খুশি’, ২৮ শতাংশ মানুষ ’মোটামুটি খুশি’। ‘সন্তুষ্টির মাত্রা কম’ বলে জানিয়েছে ৬ শতাংশ।

নির্বাচনের আগে চালানো আরেক জরিপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজে সন্তুষ্টির হার আরও কম ছিল বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

কলরেডির জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ২০ শতাংশ এই ছয় মাসে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু পায়নি।

তবে ১৬ শতাংশ মানুষ ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধ নিয়ে, ১২ শতাংশ মানুষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে, ৭ শতাংশ মানুষ দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বলে জানান হাসনাৎ মিল্টন।

কলরেডির জরিপে অংশ নেওয়া ২২ শতাংশ জানিয়েছে, আগামী দিনে যথা সময়ে বড় প্রকল্পগুলো শেষ করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করাকেও বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছে জরিপে অংশ ১৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনকে চ্যালেঞ্জ মনে করছে, সরকারের সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছে না ১৩ শতাংশ।

কলরেডি জানায়, এই জরিপের জন্য দেশের সব বিভাগ থেকে জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় মোট ১৫ হাজার মানুষের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে এর মধ্য থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৬ হাজার ১৫৫ জনকে ফোন করা হয়।

তার মধ্যে ১ হাজার ২৫৫ জন জরিপে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। এর মধ্যে ২৪ শতাংশ ছিলেন নারী।

বাকি ৪ হাজার ৯০০ জন বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কথা বলতে রাজি হননি বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।