লঞ্চ চলাচলে জটিলতা কেটেছে

মালিকপক্ষের অঘোষিত ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় দেশের দক্ষিণ জনপদের জেলাগুলোর সঙ্গে ঢাকার লঞ্চ চলাচলের জটিলতা কেটেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2019, 10:46 AM
Updated : 25 July 2019, 10:47 AM

লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বৃহস্পতিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সামনে কোরবানির ঈদ, দেশের অনেক জায়গায় বন্যা চলছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

বৃহস্পতিবার পল্টনে লঞ্চ মালিক সমিতির অফিসে মালিক, সরকার ও শ্রমিকপক্ষের সভা শেষে লঞ্চ চালানোর এই সিদ্ধান্ত জানান রিন্টু।

১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে বুধবার দিনভর সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে।

প্রত্যেক শ্রমিককে মালিকের পক্ষ থেকে পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র ও সার্ভিস বুক, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য জীবন বীমা, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রভিডেন্ট ফান্ড, খোরাকি ভাতা, কর্মকালীন মৃত্যু হলে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, সমুদ্র ভাতা, মাস্টার ড্রাইভারদের ইনচার্জ ভাতার দাবি রয়েছে নৌযান শ্রমিকদের ওই ১১ দফার মধ্যে।

বুধবার দিনভর ধর্মঘটের পর বিকালে শ্রম অধিদপ্তরে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দেয় শ্রমিক ফেডারেশন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌযান শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও মালিকরা বেঁকে বসেন।

এমনিতে প্রতিদিন সদরঘাট থেকে ৭০টির মত লঞ্চ দেশের বিভিন্ন উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায় কেবল এম ভি টিপুর চারটি লঞ্চ। আর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশালগামী গ্রীনলাইন ছাড়া আর কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবির।

এম ভি অভিযান লঞ্চের মালিক হামজালাল বলেন, “আমরা কোনো ধর্মঘটের ডাক দিইনি। লঞ্চের মালিক আমরা, কিন্তু তারা (শ্রমিকরা) নিজেদের ইচ্ছামত লঞ্চ পন্টুনে ভেড়ায়, আবার নিয়ে যায়। আমাদের না জানিয়ে গতকাল লঞ্চ চালানো বন্ধ করে দিল। আবার বিকালে এসে বলল লঞ্চ চালাবে। এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না।”

২০১৬ সালে শ্রমিকদের বেতন কাঠামোর গেজেট জারি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পরবর্তী গেজেট হবে ২০২১ সালে। এর মাঝে গত দেড় বছরে তারা বিভিন্ন ইস্যু ধরে কয়েকবার ধর্মঘট ডেকেছে, তাতে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে।”

দিনের বেশিরভাগ সময় লঞ্চ চালানো বন্ধ রেখে বিকালে পল্টনে লঞ্চ মালিক সমিতির অফিসে সরকার ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মালিকপক্ষের নেতারা।

বৈঠক শেষে সাইদুর রহমান রিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, “শ্রমিকদের বারবার অহেতুক ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি আমরা সরকারকে জানিয়েছি। সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছি।”