মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী তাদের বাধা দেয় বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ।
আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র মো. শাকিল মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগ জোরপূর্বক রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে আমাদের আন্দোলনে সমর্থনকারী ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক ও কয়েকজন মেয়ে ছিল। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের মারধর করে এবং তাদের উপর হামলা চালায়।
“আমরা আমাদের দাবি আদায়ে এখনো অটুট আছি এবং আগামীকালকেও একই দাবিতে আমরা তালা লাগাও কর্মসূচি এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।’’
তারা প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে ঝুলানো তালা ভাঙতে গেলে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে অবস্থানরত ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেন। কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী সেখানে যান।
তাদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে তালা ভেঙে প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে ঢুকে যায়।
পরে ‘ছাত্রলীগের হামলা’র প্রতিবাদে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর এবং সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে। পরে তারা ভিপির নেতৃত্বে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অবস্থান নেয়। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে ভিপিকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিতে থাকে।
এর আগে বেলা ১টায় অপরাজেয় বাংলায় সমাবেশে সাত কলেজের সংকট নিরসনের স্থায়ী সমাধান করার দায়িত্ব নিয়ে আগামীকাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলতে দিতে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায় ছাত্রলীগ।
এসময় গোলাম রাব্বানী বলেন, আগামীকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষায় কেউ বাঁধা দিতে চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ থেকে প্রতিরোধের হুসিয়ারিও দেন।