আগামী রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ ফায়েজ জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সোমবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়। আজ সেটি আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত আগামী রোবার শুনানির জন্য রেখেছেন।”
২০১৫ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেওয়া সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালিতে। বরিশাল মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি।
গত ১৫ জুলাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে চলতে থাকা যমুনা গ্রুপের একটি কভার্ড ভ্যানকে তিনি থামার সংকেত দিয়েছিলেন। কিন্তু চালক না থামিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী কিবরিয়াকে চাপা দেয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে সেদিন জানানো হয়।
গুরুতর আহত কিবরিয়াকে ওইদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ১৬ জুলাই তিনি মারা যান।
ওই কভার্ড ভ্যানের চালক মো. জলিল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ইতোমধ্যে একটি মামলা করেছে।
বেপরোয়া যান চালনা, সংকেত না মানা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তির (মোটরসাইকেল) ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণসহ সাতটি ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে ওই মামলায়
কিবরিয়ার বাবার করা রিট আবেদনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- সেই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় বেপরোয়া চালকদের নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে এবং ট্রাফিক সার্জেন্ট, ট্রাফিক পুলিশদের কাজে নতুন আইন প্রয়োগ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- সেই প্রশ্নের উত্তরও চাইতে বলা হয়েছে রুলে।
পাশাপাশি রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার পরিবারকে পারিবারিক খরচ মেটানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বরিশালের পুলিশ কমিশনার, বরিশাল ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম, যমুনা ইলেক্ট্রনিকস ও অটো মোবাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মো. আব্দুল জলিল মিয়াকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।