৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলনে ক্লাস বন্ধ ঢাবিতে

সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2019, 08:31 AM
Updated : 23 July 2019, 08:31 AM

মঙ্গলবার সকালে একদল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, কলাভবন, ব্যবসায় অনুষদ, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অ্যাকাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এর পর থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

তাদের এই আন্দোলনের কারণে মঙ্গলবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

কলাভবনের সামনে আন্দোলনরত একজন শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "প্রশাসনের কোন আশ্বাসকে আমরা বিশ্বাস করি না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।"

২০১৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। এর ফলে এসব কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, পাঠ্যসূচি ও পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পরিচালিত হচ্ছে।

কলেজগুলো হল- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

প্রতি মাসে প্রত্যেকটি বিভাগে প্রতি কলেজে দুইদিন করে মোট ১৪ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়াসহ মোট পাঁচটি দাবি আদায়ে গত এপ্রিলে আন্দোলনে নামে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

কিছু ‘জটিলতার’ কারণে ওই সাত সরকারি কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমে ‘অসুবিধা’ সৃষ্টি হওয়ার কথা স্বীকার করে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দ্রুততম সময়ে পাঁচ দাবি পূরণে আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু ওই সাত কলেজের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ধীর গতি দেখা দিয়েছে অভিযোগ তুলে এরপর আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।  

এর অংশ হিসেবে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে তারা কয়েক ঘণ্টা করে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের অবরোধের কারণে ওই মোড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। 

এরপর রবি ও সোমবার আন্দোনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। ফলে ক্লাস পরীক্ষা-বন্ধ থাকে।

এই আন্দোলনের মধ্যে রোববার বিকালে অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ডাকসু নেতাদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে বৈঠক করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাল্টাপাল্টি আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়াগুলোর মধ্যে যেগুলো যৌক্তিক, সেগুলো পূরণ করতে বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করবে।