ওই দিন সকাল ৬টা থেকে অনলাইনে (ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে) এবং ৯টা থেকে কাউন্টারে ৭ অগাস্টের টিকেট দেওয়া হবে বলে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঈদুল আযহার সম্ভাব্য দিন ১২ অগাস্ট ধরে টিকেট বিক্রি হবে। ২৯ জুলাই থেকে ২ অগাস্ট পর্যন্ত ঈদের টিকেট পাওয়া যাবে। ২৯ জুলাই বিক্রি করা হবে ৭ অগাস্টের টিকেট, ৩০ জুলাই ৮ অগাস্টের, ৩১ জুলাই ৯ অগাস্টের, ১ অগাস্টে ১০ অগাস্টের এবং ২ অগাস্টে ১১ অগাস্টের টিকেট বিক্রি করা হবে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, অনলাইনে টিকেট না পেলে কেউ কাউন্টারে গিয়ে যাতে কাটতে পারেন সেজন্য তিন ঘণ্টা আগে অনলাইনে বিক্রি শুরু হবে। কাউন্টারে টিকিট বিক্রি চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
রাজধানীর কমলাপুর ছাড়াও আরো চারটি জায়গা থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। যমুনা সেতু হয়ে পশ্চিমাঞ্চলগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রি হবে ঢাকার কমলাপুর থেকে, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে, ময়মনসিংহ জামালপুর গামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের ট্রেনের টিকেট বনানী স্টেশন থেকে এবং পুরুলিয়ার পুরাতন বিল্ডিং থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে।
ঈদুল ফিতরের আগে অনলাইনের টিকেট কেনায় ভোগান্তির বিষয়ে কথা তুলে ধরে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম জানান, সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিএনএসবিডি তাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, “ঈদুল ফিতরের সময় প্রতি মিনিটে তাদের সার্ভার ১৫ হাজার হিট নিতে পারত। এবার প্রতি মিনিটে এক লাখ হিট নিতে পারবে। বিষয়টি দেখার জন্য আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি, কমিটি আগামী বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দেবে।”
কোটার টিকিটের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “ভিআইপিদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু তারা অন্য কারো জন্য সুপারিশ করতে পারবেন না। তাদের টিকেটে অন্য কেউ যেতে পারবেন না।”