ছেলেধরার গুজবে বিভিন্ন স্থানে গণপিটুনির ঘটনা ঘটার মধ্যে ওই বাড়িওয়ালা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার বাড়িওয়ালা হলেন হাসনা বেগম ওরফে আয়েশা (৪০)। তার বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়া খোকন মিয়া (৩৫) মামলা করেছেন।
যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার কোনাপাড়ার রহমতপুরে আয়েশার টিনশেড ঘরে খোকন ভাড়া থাকেন।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার সকালে আয়েশা এক মাসের বকেয়া ভাড়া চাইতে গেলে খোকন পরে দেওয়ার কথা বলেন।
“এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে বাড়িওয়ালা আয়েশা ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করে। এসময় কয়েকজন দৌড়ে এসে খোকন মিয়াকে পিটুনি দেয়।”
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর রাতে খোকন যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। এতে বাড়িওয়ালা আয়েশাসহ ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওই মামলায় আয়েশাকে গ্রেপ্তার কো হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা শাহিনুর।
পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী।
এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এরমধ্যে গুজব ছড়িয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ঘটনাও বেরিয়ে এসেছে পুলিশের তদন্তে।