সোমবার দুপুরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের দেখতে এসে মেয়র খোকন সাংবাদিকদের বলেন, এসব ভবনের মালিকদের বারবার সতর্ক করার পরও তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
“নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে এডিস মশার প্রজনন স্থল অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক বেশি। নির্মাণাধীন ভবন মালিক এবং কর্তৃপক্ষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কাজ চলার সময় কোনোভাবেই ভবনে পানি না জমে এবং এডিস মশার লার্ভা বংশ বিস্তার করতে না পারে।”
এরকম কয়েকটি ভবনকে চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র খোকন বলেন, “যেসব নির্মাণাধীন ভবনের জমে থাকা পানিতে ফলে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেসব ভবনের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সোমবার থেকেই এসব মোবাইল কোর্ট চলবে বলে জানান মেয়র।
তিনি বলেন, ডিএসসিসির ৫৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাসায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীর যাচ্ছেন।
“যে বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে তা ধ্বংস করে পরিষ্কার করে দিয়ে আসছেন এবং ভবিষ্যতে এডিস মশার লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ১৫ দিনের মধ্যে ২৫ হাজার বাসা এডিস মশার লার্ভা মুক্ত করব।“
মেয়র জানান, দক্ষিণ সিটিতে ৬৮টি মেডিকেল টিম পাড়া-মহল্লায় কাজ করছে। ইতোমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি লোককে ‘প্রাথমিক চিকিৎসা’ দেওয়া হয়েছে।
যাদের অবস্থা বেশি খারাপ, তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন মেয়র।
তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুদের শারীরিক অবস্থারও খোঁজ নেন। শিশু হাসপাতালের পরিচালক, ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন।