সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার পর সব জেলার পুলিশ সুপারসহ পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয় বলে এআইজি (অপারেশন্স) সাঈদ তারিকুল হাসান জানিয়েছেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী।
তারপর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে চলছে। এতে ইতোমধ্যে অন্তত ছয়জন নিহত এবং অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে।
এআইজি তারিকুল সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছেলেধরা ঘটনায় এ পর্যন্ত কয়টি মামলা হয়েছে, কয়জন ধরা পড়েছে, প্রকৃত ঘটনা কী, পরবর্তী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে এসপিদের চিঠি দিয়ে তিন দিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “গুজব ছড়ানো আর গণপিটুনির ঘটনা, দুটোই অপরাধ। যারা এর সাথে জড়িত থাকবেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।”
রোববার এসপিদের পাঠানো ওই চিঠিতে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, তারা যেন এসব বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন।
মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজে গিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতেও বলা হয়েছে এসপিদের।
গুজব কানে এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এসপিদের। এজন্য পুলিশ সদস্যদের টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতেও বলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নজরদারি করার বিষয়ে সতর্কদৃষ্টি রাখতেও বলা হয়েছে বলে জানান এআইজি তারিকুল।
তিনি বলেন, “একমাত্র সকলের সচেতনতাই পারে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে।”
আরও খবর